ট্রেডিশনাল মার্কেটিং-এর কৌশলসমূহ

এইচএসসি (বিএমটি) ভোকেশনাল - ই-মার্কেটিং - ই-মার্কেটিং কৌশল | NCTB BOOK

কৌশল হলো প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনের পন্থা বা উপায়। ট্রেডিশনাল মার্কেটিং হলো পৌরাণিক বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে (যেমন- রেডিও, টেলিভিশন ইত্যাদি) ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণ করা। ট্রেডিশনাল মার্কেটিং-এর সফলতা নির্ভর করে তার গৃহীত কৌশলের ওপর। নিচে ট্রেডিশনাল মার্কেটিং-এর কৌশলসমূহ আলোচনা করা হলো-

উল্লেখ্য যে, এক্ষেত্রে ট্রেডিশনাল মার্কেটিং-এর যেসকল ধরন রয়েছে এবং কী কী কৌশল গ্রহণ করা যায় তা নির্ধারণ করতে হবে। 

১. বিলবোর্ড কৌশল ( Billboards strategy): বিলবোর্ড অবশ্যই ইলেকট্রিক বা সুন্দর হাতের লেখায় প্রিন্টেড হতে হবে। বিলবোর্ড এর স্থান নির্ধারণ করা অত্যন্ত জরুরি এক্ষেত্রে বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে, বিল্ডিং এর নিকটবর্তী জায়গায়, শপিংমলের কাছে যেখানে মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করা সম্ভব সেখানে বিলবোর্ড টাঙানো যেতে পারে।

চিত্র : বিলবোর্ড

২. প্রিন্ট অ্যাডস কৌশল ( Print ads strategy): বিভিন্ন পত্রিকার কোন পাতার কোন অংশে বিজ্ঞাপনটি দিলে গ্রাহকদের মনোযোগ আকর্ষণ করা হবে তা বিবেচনা করতে হয়। বিজ্ঞাপনটি কোন বয়সের মানুষের জন্য দেওয়া হচ্ছে তা চিন্তা করে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে হবে। যেমন: স্কুল বা কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা পত্রিকায় 'খেলার পাতা' পেইজটি মনোযোগ সহকারে পড়ে। তাই, পণ্যটি যদি কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীর জন্য হয় সেক্ষেত্রে 'খেলার পাতার' পেইজটিতে বিজ্ঞাপন দেওয়া যেতে পারে।

৩. টেলিমার্কেটিং কৌশল (Telemarketing Strategy): টেলিমার্কেটিং হলো এমন একটি কৌশল যে কৌশলে ক্রেতাদেরকে সরাসরি ফোন করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ফোনের মাধ্যমে ক্রেতাদেরকে প্ররোচিত করে পণ্য বা সেবা ক্রয়ে আকৃষ্ট করা হয়।

চিত্র : টেলিমার্কেটিং

৪. ফেস-টু-ফেস ইন্টারেকশন কৌশল ( Face-to-face interaction strategy): ট্রেডিশনাল মার্কেটিং এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হলো ফেস-টু-ফেস ইন্টারেকশন। এ ধরনের মার্কেটিং কৌশলে অনেকেই অভ্যস্ত। ক্রেতাদের সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ করে তাদেরকে পণ্য ক্রয়ে আকৃষ্ট করা হয়।

৫. ইভেন্ট মার্কেটিং কৌশল (Event marketing strategy): ক্রেতাদেরকে পণ্য ক্রয়ে আকৃষ্ট করার জন্য অনেক সময় বিভিন্ন মেলা, কনসার্ট ইত্যাদি প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়। এ কৌশলে মানুষ সহজেই ক্রেতায় পরিণত হয়।

৬. টেলিভিশন বিজ্ঞাপন কৌশল (Television advertising strategy): একসময়ে টেলিভিশনের জনপ্রিয়তা এবং এর দর্শক সবচেয়ে বেশি ছিল। তখন বিশ্বের নামি-দামি কোম্পনিগুলো তাদের পণ্যের ব্যাপক প্রচারের জন্য টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন দিত যা আজও চলমান। এক্ষেত্রে ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য আকর্ষণীয় ও আবেগীয় বিজ্ঞাপন খুবই কার্যকর।

৭. রেডিওর ব্যবহার (Radio) : প্রান্তিক পর্যায়ের গ্রাহকদের কাছে পণ্যের পরিচিতি তুলে ধরতে রেডিওতে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে ৩০/৪০ বছর আগে রেডিও অত্যন্ত জনপ্রিয় মাধ্যম ছিল। রেডিওতে বিজ্ঞাপন দিয়ে তখন সহজেই গ্রামাঞ্চলের গ্রাহকদের মনোযোগ আকর্ষণ করা হতো।

Content added || updated By
Promotion